সুধী,
২৮শে সেপ্টেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস। এ উপলক্ষ্যে তথ্য কমিশন, তথ্য অধিকার ফোরাম এবং আইআইডি যৌথ উদ্যোগে এই ই-সেমিনারটি আয়োজন করেছে।
“বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইন জনগনের তথ্য অধিকার কতটুকু নিশ্চিত করতে পারছে?” শীর্ষক এই ই-সেমিনারে অংশ নেয়ার জন্য আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আলোচ্য বিষয়ে আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য প্রত্যাশা করছি।
ধন্যবাদান্তে,
23 comments. Leave new
Right to Information is very much in our life in Bangladesh by which people in general are taking information from government and nongovernment office and it is being implemented through the “Right to Information Act 2009”. Through out the world the day for universal access to information is being celebrated and Bangladesh has done it with extra special effort where hon’ble President of Bangladesh Md. Abdul Hamid was the Chief Guest of the programme on 28th September. There were several programmes through out the country were observed.
I am happy to share my views at the portal “obhimat”, dedicated to Right to Information.
I would like to draw the attention of public to contribute in this portal by posing questions and concerns regarding RTI.
RTI, is one of the major initiatives to make the society more transparent and accountable, by which people will get real benefit out that.
All the best…
Please accept my congratulations for taking this initiative. The Right to Information Act 2009, is a tool that empowers people to demand and get information as a right. The usefulness of any law is judged on its usage.
This is truly a people’s law, different from any other law and establishes the citizenship right of people. Therefore the more people use it the more benefit it will give. As citizen of this country, it is our responsibility to promote the law, raise awareness about it, use it ourselves and encourage others to use it. Only then it will be effective and peoples demand for open transparent access to information will be assured.
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের বিরাগভাজন হতে হয় অনেক সময়, এর কোন প্রতিকার কিন্তু আইনে নেই। অনেক সময় অকারণ যে হেনন্তা হতে হয়, যেমন- তথ্য কর্মকর্তার বা আপীল কর্মকর্তার নাম থাকে না। এসব কারনে তথ্য অধিকার আইন সমসময় কার্যকর হয়না।
অন্যান্য আইনের মতোই, প্রায়োগিত দুর্বলতা আইনের সম্ভাব্য উপকারীতাকে ছোট করে দেয়।
সাবইকে শুভেচ্ছা! ধন্যবাদ মাহমুদুল বারীকে আপনার বক্তব্যের জন্য।
তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ধারা ৮(১) এ ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ পদটি উল্লেখ করে তাঁর কাছে আবেদন এবং ‘আপীল কর্তৃপক্ষ’ এর কাছে আপীল করার কথা বলা হয়েছে। সরকার কর্তৃক জারী করা ‘তথ্য অধিকার (তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত) বিধিমালা, ২০০৯ এ তফসিলে আবেদনের ফরম (ক-ফরম) এবং আপীলের ফরম (গ-ফরম) দেয়া হয়েছে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করার কোন জায়গা রাখা হয়নি। আ্ইন বাস্তবায়নের একেবারে শুরুর দিকে কিছু সমস্যার সমস্যার সমাধান হিসাবে তথ্য কমিশন ফরমটি পরিবর্তন করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করার বিষয়টি ফরমে জুড়ে দেয়। এর ফলে অভিযোগ নিষ্পত্তির কাজটি হয়তো সহজ হয়েছে কিন্তু যাদের জন্য এই আইন সেই সাধারণ মানুষের মূল কাজটি (আবেদন) অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে। যদিও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম না লেখার কারণে তথ্য কমিশন কোন অভিযোগ ফিরিয়ে দেয় না, কিন্তু সাধারণ মানুষের হাতে ফরমটি যাওয়ার পর সে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম লেখাটিকে আবশ্যক ধরে নেবে এবং নাম সংগ্রহের জটিলতায় পড়বে অথবা আবেদনে নিরুৎসাহিত হবে।
জনাব বারী, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং আপীল কর্তৃপকক্ষের নাম না পেলে নাম অনুল্লেখ রেখে আবেদন/আপীল করুন। তথ্য কমিশন আপনাকে ফিরিয়ে দেবে না। তবে ভুল নাম লিখলে সমস্যা হতে পারে। তবে আমার ব্যাক্তিগত দাবী হলো নাম লেখার এই জটিলতা থেকে জনগণকে মুক্তি দেয়া হোক।
সাফল্যের মাপকাঠি কী?
আবেদনপত্রের সংখ্যাই তথ্য অধিকার আইনের সাফল্যের মাপকাঠি? আইনের চেয়ে আইনের প্রয়োগের দুর্বলতা বেশি। এজন্য আমি এনজিও বা সুশীল সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো, যারা প্রকল্প নিয়ে হাজার হাজার আবেদন পত্র পূরণের কাজ করেছেন, কিন্তু জনগন কী তথ্য চায়, তার দিকে নজর দেননি।
বিগত বছরগুলিতে এই আইনের যতটুকু সাফল্য, তা ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। তবে এর পোটেনশিয়াল কিন্তু অনেক বেশি ছিল, যা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
আইনে সমস্যা থাকলে সেই আইন নিয়ে বেশি আলাপ হয়, বির্তক হয়। একারণে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বা নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যতো বেশি কথা হয়েছে, তথ্য অধিকার আইন নিয়ে কিন্তু ততো বেশি আলোচনা হয়নি। এর কারন সম্ভবত আইনটি মুলত: একটি ইতিবাচক আইন। কিন্তু জনগনের তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন করতে হলে আইনের প্রচারের পাশাপাশি আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রিয় তৌহিদ হোসেন, আপনার সাথে সহমত পোশন করছি। এই আইনের যে বিপুল ক্ষমতা, যে সিমাহীন সম্ভাবনা তার কণা মাত্র অর্জন সম্ভব হয়নি। এই আইন ও এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির কাজ খুব সামান্য। কাজটি করছে তথ্য কমিশন ও কয়েকটিমাত্র এনজিও। যারা কাজ করছেন তারাও আবেদনের ক্ষেত্রে সংখ্যাটিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। অথচ জীবন ঘনিষ্ট ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য চেয়ে আবেদন ও তার ফলাফল মানুষকে আরো আবেদনে উদ্বুদ্ধ করবে। কথা নয় আমরা যদি ফলাফল দেখাতে পারি তাহলে আইনটির প্রতি মানুষের আস্থা জন্মাবে এবং আমরা এই আইনের সুফল দ্রুত পেতে শুরু করবো।
প্রিয় হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, গণসচেতনতা সৃষ্টিতে নিয়োজিদ এনজিওদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তাদের অধিকাংশই ব্যস্ত জনগনের পক্ষে হাজার হাজার আবেদনপত্র তৈরি করে তা সাবমিট করার কাজে। অনেক সময় ওইসব জনগন জানেই না যে ঠিক কী তথ্য তাদের পক্ষে এনজিওগুলো জানতে চেয়ে ফরম ফিলআপ করে দিয়েছে।
তথ্য অধিকার আইনের সফল বাস্তবায়ন এভাবে হবে না। এর জন্য দরকার জনগনকে তথ্যের উপকারীতা বোঝানো- কোন তথ্য কীভাবে তাদের কাজে লাগবে সেটা বুঝতে পারলে জনগনই আবেদন শুর করবে। কিন্তু কেবল হাজার হাজার আবেদন করিয়ে তাদের অভ্যস্ত করানো যাবে না।
প্রিয় রুবিনা হক, আপনাকে শুভেচ্ছা আপনার এই উপলব্ধির জন্য।
নতুন কোন আইন হলে তাতে আইনের প্রাধান্য বলে একটা ধারা থাকে, যেখানে লেখা থাকে- “আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷”। আমাদের দেশে যতোদিন আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা থাকিবে, ততদিন তথ্য অধিকার আইনের সফলতা আসবে না। কারন, তথ্য অধিকার আইনে বলবত্ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সর্বত্র ৫৭ ধারার বিধানাবলী কার্যকর হয়ে তথ্য অধিকারকে ব্যহত করবে।
তথ্য অধিকার কেবল চাহিদা নির্ভর নয়, এটা যোগান নির্ভরও। আর ৫৭ ধারার মতোন আইন সেই যোগান বা proactive disclosure কে বাধাগ্রস্থ করছে।
প্রিয় সুমনা হক, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং আইন বাস্তবায়ন নিয়ে আপনার উৎকণ্ঠার জন্য ধন্যবাদ। আমরা যারা এই আইনটি বাতস্তবায়ন আন্তরিকভাবে চাই তারাই এমন উৎকণ্ঠা অনুভব করি। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার সাথে তথ্য অধিকার আইনের সাংঘর্ষিক অবস্থা নিয়ে অনেক বিজ্ঞজন অনেক কথা নানা সময়ে বলেছেন। গণমাধ্যমের দ্বারা আমরা তা জানতে পেরেছি। দীর্ঘ দিন ধরে (আইপাসের দাবীর আন্দোলনের সময় থেকে) নাগরিকের তথ্যে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে। বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে আইন বাস্তবায়নে কাজ করার কারণে তথ্য অধিকার আইন বহুবার পড়তে হয়েছে, এর পুংখানুপুংখ জানার চেষ্ঠা করেছি- করে যাচ্ছি।
আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা তথ্য অধিকার আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এই বিষয়টি যখন সামনে আসে তথন আমি তথ্য অধিকার আইনের কোন ধারা বা বিধানে সাথে এটি সাংঘর্ষিক তা খুজে বের করার চেষ্ঠা করেছি। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে-
“(১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি ১[ অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে] এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
তথ্য অধিকার আইনের মূল কথা হলো কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নাগরিকের তথ্য জানার অথিকার রয়েছে। নাগরিক চাইলে কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে বাধ্য। আবার কর্তৃপক্ষ তার তথ্য স্বপ্রণোতিদভাবেও প্রকাশ করবে। সার্বিক বিচারে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা তথ্য অধিকার আইনের সাথে সাংঘর্ষিক বলে প্রতীয়মান হয় না। যাঁরা এটি বলছেন তাঁদের সকলকে ৫৭ ধারাকে তথ্য অধিকার আইনের সাথে আরো সতর্কতার সাথে মিলিয়ে নেয়ার অনুরোধ করছি। কারণ এ ধরণের প্রচার তথ্য অধিকার আইনের উপর মানুষের আস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Thank you for offering this opportunity. The RTI Act is a empowering tool for the people to ask for information they need and also to know what are the policy and its implication for the people, the citizens. But we are not aware of the use of the Act by the people, my experience of grass roots do not reflect the adequate knowledge of people or even the administrative or legislative authorities about the use of the Act. I suggest more stronger efforts to be invested – by ALL GoB, Civil Society and Private Sector – to inform and aware people about this RTI act and howto access the benefit. If people know what and how to act, then the movement will began through which this Act can be used to end injustice, irregularities and un ethical acts at our everyday life.
আমাদের পিছন দিকে হাঁটা অব্যাহত রয়েছে| আইনের বৈশ্বিক মানদন্ডে ইথিওপিয়া, সিয়েরালিওনের মত দেশগুলো আমাদের চেয়ে এগিয়ে| প্রথম ২০টি দেশের তালিকা থেকে ছিটকে এবারে আমাদের অবস্থান ২৩, ১১১টি দেশের মধ্যে|
আমাদের অবস্থান ভালো করার কাজটা আমাদেরকেই করতে হবে|
http://www.rti-rating.org/view_country/?country_name=Bangladesh
ধন্যবাদ রেজোয়ান ভাই, কথা সত্যি। তবে আমরা “গ্লাসটি অর্ধেক খালি” না বলে “গ্লাসটি অর্ধেক ভরা” এভাবে বলতে পারি। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের অবস্থান (২৩) আমেরিকা (৫৫), অস্ট্রেলিয়া(৫৬), স্পেন (৭৫), জার্মান (১০৫) এমন অনেক সভ্য ও ধনী দেশের থেকে অনেক ওপরে।
২০০৯ সালে বিশ্বের ৮২তম দেশ হিসাবে বাংলাদেশ যখন আইন পাস করে তখন বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১৩। বাংলাদেশের পরে যে সকল দেশ আইন করেছে তারা আরো একটু ভাল আইন করেছে (সকলে নয়) তাই নতুন আইনগুলোর অবস্থান ওপরে হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে আইন সংশোধনের মাধ্যমে অবস্থান ভাল করতে সক্ষম হবো নিশ্চয়। তবে এখনো তার সময় আসেনি, কেন আপনিও জানেন।
আমাদের দেশে তথ্য অধিকার আইন প্রণীত হয়েছে জনগণের জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত জনগণ এই আইন সম্পর্কে পর্যাপ্ত সচেতন হয়ে ওঠেনি। পাশাপাশি যাঁরা তথ্য প্রদান করবেন সেই কর্তৃপক্ষের সচেতনতা ও প্রস্ত্ততিও কাঙ্ক্ষিত মাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি, যা তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
সুদীর্ঘকাল ধরে দাপ্তরিক তথ্য গোপনের যে চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালিত হয়েছে তার ফলে প্রশাসনে গোপনীয়তার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। তথ্যে জনগণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য গোপন রাখার এই চর্চার পরিবর্তনে সকলের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার যে স্বপ্ন নিয়ে তথ্য অধিকার আইন পাস হয়েছে আমাদের সমন্বিত চেষ্টায় তা অর্জনে আমরা সফল হবো নিশ্চয়ই।
এই একটি আইন যে পরিমান সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে, যত কোটি এসএমএস জনগনের কাছে গিয়েছে, যতোগুলি র্যালী হয়েছে– তা কিন্তু খুব কম আইনই পেয়েছে। তারপরেও যদি মনে হয় যে “জনগণ এই আইন সম্পর্কে পর্যাপ্ত সচেতন হয়ে ওঠেনি” (এবং আমি আপনার সাথে এ বিষয়ে একমত), তাহলে সম্ভবত আমাদের প্রচারনা অভাব নয়, বরং চলমান প্রচারনার ধরন নিয়ে সমালোচনা করা উচিত।
এবারও যে র্যালী হলো, তা আসলে রাস্তায় যানজট বৃদ্ধি যতোটা করেছে, ততোটা জনসচেতনতা কি তৈরি করতে পেরেছে? সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচীগুলির মুল্যায়ন এবং কার্যকারীতার বিষয়টিতে আমাদের সকল ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানেরই নজর দেয়া প্রয়োজন।
প্রিয় রুবিয়া আপা, আপনার সাথে দৃঢ়ভাবে একমত। তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে প্রচারণার ধরণ যথাযথ নয়। “আপনার শিশুকে টিকা দিন” বা ”ডায়রিয়া হলে খাওয়ার স্যালাইন খান” জাতীয় প্রচারণা দিয়ে তথ্য অধিকার আইনের সচেতনতা সম্ভব নয়। তাই এসএমএস বা টিভি স্ক্রল দিয়ে এই আইনের সচেতনতা সম্ভব নয়। আমরা যদি জনগণের হয়ে আবেদন ফরম পুরণ করে হাজার হাজার আবেদন জমা দিয়ে দিই তাহলে ভিন্ন কথা। কিন্তু আমরা যদি জনগণের মধ্যে আবেদনের জন্য যথাযথ উপলব্ধি তৈরী করতে চাই তাহলে ‘তথ্য মানুষের জীবনে কি পরিবর্তন আনতে পারে” তা আগে বোঝানো জরুরী। পাশাপাশি আইনের ক্ষমতার কিছু উদাহারণ তাঁর সামনে থাকা জরুরী। তাই মানুষের জীবন ঘনিষ্ট তথ্য চেয়ে আবেদন করতে হবে। সাধারণ মানুষই নির্ধারণ করবে কোন তথ্যটি তার প্রয়োজন।
তবে বছরে একটি র্যালি তথ্য অধিকার আন্দোলনের কর্মীদের একত্রিত হওয়ার একটি জায়গা। এর মাধ্যমে তথ্য অধিকারের একটি দিবস আছে তা যেমন মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়া যায়, পাশাপাশি তথ্য অধিকার কর্মীদের উদ্দিপনার নবায়ন ঘটে।
সব প্রতিষ্ঠান (এনজিও) যদি তথ্য অধিকার আইনের বাস্তবায়নকে সকল কাজের অংশ (cross-cutting) হিসাবে নেয় তাহলে এই আইন সম্পর্ গণসচেতনতা সৃষ্টি হজতর হয়।
As Mahatma Gandhi said, “The real Swaraj will come not by the acquisition of authority by a few but by the acquisition of capacity by all to resist authority when abused.” Such capacity can only be achieved through the free of information which will empower citizens to resist abuse of power by the people in positions of power. In order to ensure such free flow of information, the mindset of the powerful must change. They must come to the realization that their job is to disclose all information unless specifically barred by law rather than not disclose the information unless required by law. Where law is silent or ambiguous, public interest must be the guiding principle for the people in authority. They should ask themselves: will disclosing the information promote or hinder public interest? They should disclose all information that would uphold and promote public interest. The laws should also have few exceptions. We therefore need to re-look at Section 7 of our RTI law.
Prime requirement at this stage is making the people more and more aware about the process of using the RTI Act to achieve fundamental and other legal and social rights of the citizens of the country. All the govt. and non-govt. organizations and every educated citizen should come forward to popularize the law among the general mass.
জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইন পাস হয়েছে। আইনের বিধান অনুসারে নাগরিক চাইলে কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে বাধ্য। আবার আইনের ধারা ৬ এ স্বপ্রণোতিদভাবে তথ্য প্রকাশে কর্তৃপক্ষের উপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। তথ্য চাওয়ার আগেই যদি কর্তৃপক্ষ তা জনগণকে জানিয়ে দেয় তাহলে তা জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করণের লক্ষ্য পূরণকে সহজতর করে। ওয়েবসাইট স্বপ্রণোতিদ তথ্য প্রকাশের অন্যতম কার্যকর উপায়। কিন্তু দেশের অধিকাংশ জনগণ যখন ইন্টারনেট স্বাক্ষর নয় তথন মাধারণ মানুষকে তথ্য জানাতে সনাতন প্রকাশমাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। এইরূপ তথ্য প্রকাশে কর্তৃপক্ষকে সৎ ও আন্তরিক হতে হবে। লোক দেখানো আয়োজন না করে, প্রকৃতপক্ষে জনগণের জানার অধিকার পুরণ হয় এমসভাবে তাদের তথ্য জানাতে হবে।
Can moderator or anyone of the initiative takers tell me that commentators are exempted from ICT Act? If yes, than only I can give comment.
No citizen are exempted from any laws/act enacted in Bangladesh. Yes! There is ICT Act but is it making media reluctant to speak out or shut down? Have all the bloggers or online writers, social media contributors have halted commenting or contributing? Have people stopped dialogue in public forums? Have the right activists stopped their shouts? We can discuss ICT Act or its amendments in a separate forum.
So, we should think more positively. Your input will help better implementation of Right to Information Act.
বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইন জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার মত সমর্ একটি আইন — এটা আমি মনে করি। তবে আিইনের যারা রক্ষক তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উপরের মন্তব্যের জন্য। আইনের রক্ষক হিসাবে এখানে ডিমান্ড সাইড, সাপ্লাই সাইড এবং তথ্য কমিশন সকলের ভূমিকা পালন করা জরুরী।
জনগণ যদি আইনটি ব্যবহার না করে, তাহলে এই আইনটি নিরর্ক আইনে পরিণত হতে পারে।ব্যবহার বলতে শুধুমাত্র আবেদন করা নয়, আইনের মর্মার্থ অনুধাবন করে এর ব্যবহার করা। সেটি যেমন ব্যক্তির ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী, অপরদিকে গোষ্ঠী, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় চাহিদাকেও সামনে রেখে আবেদন করা জরুরী। আর আবেদন হতে হবে সংখ্যায় প্রচুর। সংখ্যাধিক্য সাপ্লাই সাইডকে বাধ্য করবে আবেদনের গুরুত্ব অনুধাবন করতে। এটি পরীক্ষিত সত্য। জনগণের এই সক্রিয় ভূমিকা আইনের মূল উদ্দেশ্য কর্তৃপক্ষের জবাবদিহীতা, দায়বদ্ধতা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। যা প্রকারান্তরে জনগনের অধিকারকেই নিশ্চিত করবে।
সাপ্লাই সাইডকে আবেদনপত্রগুলোকে ব্যক্তিগত চাহিদা হিসেবে না দেখে বৃহত্তর স্বার্থর প্রতিভূ হিসেবে দেখতে হভে এবং সেভাবেই তথ্য প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।কারণ তাদের তথ্য প্রদান প্রক্রিয়া গতিশীল হলে প্রশাসনিক কমর্কান্ড গতিশীল হবে, সুসংবদ্ধ হবে এবং তথ্য সংরক্ষণ প্রক্রিয়া সিস্টেমেটিক হবে।
জনগণের তথ্তয অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তথ্য কমিশনের রযেছে বিরাট ভূমিকা। কারণ তারাই হচ্ছে আইনের অভিভাবক, সাপ্লাই এবং ডিমান্ড সাইডকে সচল রাখার হাতিয়ার। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, তথ্য অধিকার আইন হযেছে নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। সেক্ষেত্রে তথ্য কমিশনের ভূমিকা জনমুখী হতে হবে। কারণ তাদের প্রদেয় সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে জনগণ এই আইন ব্যবহারে উৎসাহী হবে নাকি হতাশায় নিমজ্জিত হবে।